দশ পাকে বাঁধা

স্বামী-স্ত্রী সবসময়ই ঝগড়া করেন। একজন আরেকজনকে গালাগালি দেন, অপমান করেন। বিচ্ছেদ হবে হবে আর কি। বন্ধুরা উপদেশ দিল শহরে এক গুরুজী আছেন, উনার কাছে যাও তোমরা।

গুরুজীর কাছে গেলেন তারা। গুরুজী জিজ্ঞেস করলেন :
-কত বছর ধরে তোমরা একসাথে আছ?
ত্রিশ বছর।
ত্রিশ বছর পরে একজন আরেকজনকে তালাক দিতে চাও?
হ্যাঁ
আমি তোমাদেরকে দশটি জিনিস বলবো। হিন্দুধর্মে আছে বিয়ে হলো সাত পাকে বাঁধা।

আমার মতে দশ পাকে বাঁধা।
(১) কখনও কাউকে গালাগালি দেবেনা। অপমান করবেনা, গায়ে হাত দেবেনা। পরষ্পরের পরিবারকে সম্মান করবে। তোমার মা এ রকম আর তোমার বাবা সে রকম-এ সব কথাগুলি ভুলে যাও।

(২) নিজেদের পারিবারিক সম্পর্কে কখনও তৃতীয়পক্ষকে নাক গলাতে দেবেনা। যতই আপন মানুষ হোক না কেন তার উপদেশে নিজেদের মধ্য ঝগড়া বা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতে দেবেনা।

(৩) আজকের ঝগড়া আজকে শেষ করবে। কোন কারণেই যেন কালকের দিনটি মন কষাকষির মেঘে আবৃত না হয়।

(৪) নিজেকে রাখ সুন্দর ও ফিট। তোমার সঙ্গী যেন তোমার চেহারা ও ফিগার নিয়ে গর্ব করতে পারে।

(৫) এক সাথে সখের কাজ করো, খুঁজে বের করো কোনটি তোমাদের কমোন হবি।

(৬) বছরে যখনই সময় পাবে দু’জনে মিলে কোথায়ও যেও বেড়াতে। দরকার হলে ছেলে-মেয়েদের বাসায় রেখে যাবে। সাথে দুটি ব্যাগ আর কিছু নয়।

(৭) সঙ্গীর কাছে ভালবাসা প্রকাশ করো। মনে রেখ ভালোবাসা দিলেই ভালোবাসা পাবে।

(৮) একজন আরেকজনকে বিশ্বেস করবে।

(৯) কখনও চেষ্টা করবেনা একজন আরেকজনকে ঠকাতে। প্রতারনা কখনও চাপা থাকেনা।

(১০) সবচেয়ে বড় কথা- ‘সততা’। কখনও কোন অবস্থাতেই মিথ্যের আশ্রয় নেবেনা।

গুরুজী এবার একটু থেমে বললেন:
-চেষ্টা করো এই দশটি নীতি মেনে চলতে আর আমার সাথে ১ মাস পরে আবার দেখা করো, কেমন।

এই দম্পতি আর কোনদিনই গুরুজীর কাছে আসেননি।

তারিক হক
জার্মানি, ০১ / ০২ / ২০১৭
Tarique Huq

Share This